ইতিহাস কাকে বলে? ভারতবর্ষের ইতিহাসের উপর পরিবেশের প্রভাব আলোচনা কর। | What is history? Discuss the influence of environment on the history of India.
উত্তরঃ ইতিহাস হলো মানব সমাজের জীবনযাত্রার সামগ্রিক কাহিনি। এটি শুধু রাজা, মহারাজা, বা বাদশাহদের কাহিনি নয়, বরং সমগ্র মানবগোষ্ঠীর সভ্যতার পথে অগ্রগতির কাহিনিকেই বোঝায়। যুগ যুগ ধরে যে অগ্রগতি বিভিন্ন ধারায়, বিচিত্র পথে নব নব সাংগঠনিক ও সাংস্কৃতিক রূপ পরিগ্রহ করে অগ্রসর হয়ে আসছে, ইতিহাস তার সাক্ষ্য বহন করে আসছে। মানুষই হচ্ছে ইতিহাস রচনার মূল ভিত্তি। মানব সভ্যতা কি ভাবে আজকের স্তরে এসে পৌঁছেছে, ইতিহাসের মধ্যে তার প্রতিফলন দেখা যায়। R. C. Majumdar and A. D. Pusalker মতে, “History has been defined as the study of man’s dealings with other man, and the adjustment of working relations between human groups.”- Vedic Age.
কিন্তু বিশ্বের সমস্ত মানবজাতি একই পরিবেশের মধ্যে বাস করে না। মানুষের পরিবেশের মধ্যে প্রথম ও প্রধান হচ্ছে তার ভৌগোলিক পরিবেশ। ভূ-পৃষ্ঠের সর্বত্র ভূ-প্রকৃতি এবং জলবায়ু এক নয়; সুতরাং ভূ-পৃষ্ঠে বসবাসকারী মানবগোষ্ঠীগুলির ভৌগোলিক পরিবেশও বিভিন্ন। এই বিভিন্ন পরিবেশের প্রভাবেই বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জাতির জীবনযাত্রার ধারাও হয়েছে বিভিন্ন, তার ইতিহাসের গতিপথও হয়েছে স্বতন্ত্র।
সুতরাং ভূ-পৃষ্ঠের বসবাসকারী বিভিন্ন জাতিকে তার জীবনযাত্রার পথে পৃথক পৃথক পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাই Sinha and Banerjee বলেছেন, “Geography and chronology are the Sun and the Moon, the right eye and the left eye of all history.”
ভারতবর্ষের ইতিহাসের উপর পরিবেশের প্রভাব :
ভারতবর্ষের ইতিহাসের উপর পরিবেশের প্রভাব গভীর ও ব্যাপক। হিমালয় পর্বতমালা, গঙ্গা নদী, উপকূলীয় অঞ্চল, মালভূমি এবং মরুভূমি সহ ভারতবর্ষের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য দেশটির রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভূ-প্রকৃতির বিচারে ভারতকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
- পর্বতাশ্রয়ী হিমাচল অঞ্চল,
- সিন্ধু- গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বিধৌত উত্তর ভারতের সমতল ভূমি,
- মধ্য-ভারতের মালভূমি,
- দাক্ষিণাত্যের মালভূমি ও
- সমুদ্রোকূলবর্তী সংকীর্ণ সমভূমি। এ ছাড়াও ভারতবর্ষ নানা প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ।
হিমালয় পর্বতমালা ভারতকে এশিয়া মহাদেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে পৃথক করে রেখেছে। এই প্রাকৃতিক বাধাটি ভারতকে বহিঃশক্তির আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছে এবং দেশটির নিজস্ব অনন্য সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিকাশকে অনুমতি দিয়েছে।
গঙ্গা নদী ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী। এটি দেশটির উত্তরাঞ্চলের সমভূমিতে প্রবাহিত হয় এবং এটি ভারতের জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে। গঙ্গা নদীর জল সেচ, যোগাযোগ এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ভারতের উপকূলীয় অঞ্চল দেশটির অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলটিতে বহু বন্দর অবস্থিত, যা ভারতকে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে বাণিজ্য করতে সহায়তা করে। উপকূলীয় অঞ্চলটিতে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদও রয়েছে, যেমন খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস।
মালভূমি ভারতের একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য। এই মালভূমিগুলি দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগকে কঠিন করে তোলে, যা ভারতের ইতিহাসে রাজনৈতিক বিভাজনে অবদান রেখেছে।
মরুভূমি ভারতের উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। এই মরুভূমিগুলি জনবসতিহীন এবং ভারতের অর্থনীতিতে খুব বেশি ভূমিকা পালন করে না। তবে, মরুভূমিগুলি ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, কারণ এগুলি বহিরাগত আক্রমণকারীদের জন্য একটি প্রাকৃতিক বাধা প্রদান করেছে।
ভারতবর্ষের ইতিহাসে পরিবেশের প্রভাব নিম্নলিখিত উপায়ে লক্ষ্য করা যায়:
- রাজনৈতিক বিবর্তন: হিমালয় পর্বতমালা ভারতকে বহিঃশক্তির আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছে এবং দেশটির নিজস্ব অনন্য সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিকাশে সাহায্য করেছে। গঙ্গা নদীর জল সেচ, যোগাযোগ এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে, যা ভারতের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- সামাজিক বিবর্তন: গঙ্গা নদীর অববাহিকা ভারতের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল। এই অঞ্চলে প্রচুর উর্বর জমি রয়েছে, যা জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করেছে। হিমালয় পর্বতমালা এবং মালভূমিগুলি জনবসতিহীন, যা ভারতের সামাজিক বিবর্তনে একটি প্রভাব ফেলেছে।
- সাংস্কৃতিক বিবর্তন: হিমালয় পর্বতমালা এবং গঙ্গা নদীর অববাহিকা ভারতের দুটি প্রধান ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্যগুলি ভারতের সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সামগ্রিকভাবে, ভারতবর্ষের ইতিহাসে পরিবেশের প্রভাব গভীর ও ব্যাপক। পরিবেশগত কারণগুলি ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিবর্তনের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।
PDF – ইতিহাস কাকে বলে? ভারতবর্ষের ইতিহাসের উপর পরিবেশের প্রভাব [Dwonload]
১. ইতিহাস কাকে বলে?
উত্তরঃ ইতিহাস হল অতীতের ঘটনাবলীর সংকলন। এটি হল মানব সভ্যতার বিবর্তনের কাহিনী। এটি হল মানুষের সংস্কৃতি, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্ম, শিল্প, সাহিত্য ইত্যাদির বিকাশের ইতিবৃত্ত।
২. ভারতের ইতিহাসের প্রধান পর্বগুলি কী কী?
উত্তরঃ ভারতের ইতিহাসকে সাধারণত চারটি প্রধান পর্বে ভাগ করা হয়:
- প্রাচীন ভারত (খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০-১২০০ সাল)
- মধ্যযুগীয় ভারত (১২০০-১৭৫৭ সাল)
- আধুনিক ভারত (১৭৫৭-১৯৪৭ সাল)
- স্বাধীন ভারত (১৯৪৭ সাল থেকে)
৩. ভারতের প্রাচীন সভ্যতাগুলি কী কী?
উত্তরঃ ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতাগুলি হল:
- সিন্ধু সভ্যতা (খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০০-১৩০০ সাল)
- ঋগ্বেদীয় সভ্যতা (খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০-১০০০ সাল)
- মৌর্য সাম্রাজ্য (খ্রিস্টপূর্ব ৩২১-১৮৫ সাল)
- গুপ্ত সাম্রাজ্য (খ্রিস্টীয় ৩২০-৫৫০ সাল)
৪. ভারতের মধ্যযুগীয় সভ্যতাগুলি কী কী?
উত্তরঃ ভারতের মধ্যযুগীয় সভ্যতাগুলি হল:
- পাল সাম্রাজ্য (৭৫০-১১৯৬ সাল)
- সেন সাম্রাজ্য (১১৯৬-১২৭৯ সাল)
- দিল্লি সালতানাত (১২০৬-১৫২৬ সাল)
- মুঘল সাম্রাজ্য (১৫২৬-১৮৫৭ সাল)
৫. ভারতের আধুনিক সভ্যতাগুলি কী কী?
উত্তরঃ ভারতের আধুনিক সভ্যতাগুলি হল:
- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (১৬০০-১৮৫৭ সাল)
- ব্রিটিশ রাজ (১৮৫৮-১৯৪৭ সাল)
- স্বাধীন ভারত (১৯৪৭ সাল থেকে)
৬. ভারতের ইতিহাসের উপর পরিবেশের প্রভাব কী?
উত্তরঃ ভারতের ইতিহাসের উপর পরিবেশের প্রভাব অত্যন্ত গভীর। ভারতবর্ষের ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু, উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে ভারতবর্ষের বিভিন্ন সভ্যতার উত্থান-পতন ঘটেছে।
- ভূপ্রকৃতির প্রভাব: ভারতবর্ষের বিস্তৃত সমভূমি, মালভূমি, পর্বতমালা, নদী, উপসাগর ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে ভারতবর্ষের বিভিন্ন সভ্যতা গড়ে উঠেছে। উদাহরণস্বরূপ, সিন্ধু সভ্যতা গঙ্গা-যমুনা সমভূমিতে, মৌর্য সভ্যতা উত্তর-পশ্চিম ভারতের মালভূমিতে, গুপ্ত সভ্যতা উত্তর ভারতের সমভূমিতে এবং পাল সভ্যতা উত্তর-পূর্ব ভারতের সমভূমিতে গড়ে উঠেছে।
- জলবায়ুর প্রভাব: ভারতবর্ষের গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু ভারতীয় সংস্কৃতি ও কৃষিব্যবস্থাকে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
- উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের প্রভাব: ভারতবর্ষের সমৃদ্ধ উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত ভারতীয় সংস্কৃতির উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতীয় শিল্প ও সাহিত্যে গাছপালা ও পশুপাখির প্রতীকী ব্যবহার দেখা যায়।
৭. ভারতের ইতিহাসের উপর ধর্মের প্রভাব কী?
উত্তরঃ ভারতের ইতিহাসের উপর ধর্মের প্রভাব অপরিসীম। ভারতবর্ষের বিভিন্ন ধর্ম, যেমন হিন্দুধর্ম, ইসলাম, বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম ইত্যাদি ভারতীয় সংস্কৃতি, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিল্প, সাহিত্য ইত্যাদির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
- ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধ: ভারতের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধ ভারতীয় সমাজের মূল ভিত্তি। হিন্দুধর্ম, ইসলাম, বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম ইত্যাদি ধর্ম ভারতীয় সমাজে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করেছে।
- ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: ভারতে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যেমন মন্দির, মসজিদ, গুহা, মঠ ইত্যাদি। এই প্রতিষ্ঠানগুলি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
- ধর্মীয় শিল্প ও সাহিত্য: ভারতীয় ধর্মগুলির উপর ভিত্তি করে ভারতে সমৃদ্ধ শিল্প ও সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছে। হিন্দুধর্মের উপর ভিত্তি করে ভারতীয় শিল্প ও সাহিত্যের একটি বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে। ইসলাম, বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্মের উপর ভিত্তি করেও ভারতীয় শিল্প ও সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছে।
৮. ভারতের ইতিহাসের উপর অর্থনীতির প্রভাব কী?
উত্তরঃ ভারতের ইতিহাসের উপর অর্থনীতির প্রভাব অত্যন্ত গভীর। ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভারতীয় সমাজ, রাজনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদির উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।
- কৃষি ও শিল্প: ভারতবর্ষের অর্থনীতি কৃষি ও শিল্পের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। কৃষি ও শিল্পের উন্নতি ও অবনতি ভারতীয় ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।
- বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক পথ: ভারতবর্ষ প্রাচীনকাল থেকেই বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। ভারতীয় বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক পথগুলি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
- অর্থনৈতিক নীতি: ভারতের বিভিন্ন শাসক বিভিন্ন অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ করেছে। এই অর্থনৈতিক নীতিগুলি ভারতীয় ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।
৯. ভারতের ইতিহাসের উপর শিক্ষার প্রভাব কী?
উত্তরঃ ভারতের ইতিহাসের উপর শিক্ষার প্রভাব উল্লেখযোগ্য। ভারতবর্ষের শিক্ষাব্যবস্থা ভারতীয় সংস্কৃতি, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ইত্যাদির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ভারতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যেমন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ইত্যাদি। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
- শিক্ষা ব্যবস্থা: ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা ভারতীয় সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জন্য শিক্ষার সুযোগ প্রদান করেছে।
- শিক্ষাগত অর্জন: ভারতীয়রা বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য শিক্ষাগত অর্জন করেছে। এই অর্জনগুলি ভারতীয় ইতিহাসের গৌরবকে বৃদ্ধি করেছে।
১০. ভারতের ইতিহাসের উপর রাজনীতির প্রভাব কী?
উত্তরঃ ভারতের ইতিহাসের উপর রাজনীতির প্রভাব অপরিসীম। ভারতবর্ষের বিভিন্ন শাসক বিভিন্ন রাজনৈতিক নীতি অনুসরণ করেছে। এই রাজনৈতিক নীতিগুলি ভারতীয় ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।
- রাজ্য ও শাসক: ভারতবর্ষ বিভিন্ন রাজ্য ও শাসকদের দ্বারা শাসিত হয়েছে। এই রাজ্য ও শাসকদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও সংঘর্ষ ভারতীয় ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।
- রাজনৈতিক সংস্কৃতি: ভারতীয় রাজনীতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। এই রাজনৈতিক সংস্কৃতিগুলি ভারতীয় সমাজে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
- রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান: ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যেমন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সংসদ, বিধানসভা ইত্যাদি। এই প্রতিষ্ঠানগুলি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
- রাজনৈতিক ঘটনা: ভারতের ইতিহাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে, যেমন স্বাধীনতা সংগ্রাম, বিভাজন, গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি। এই ঘটনাগুলি ভারতীয় ইতিহাসের গতিপথকে বদলে দিয়েছে।
ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে রাজনীতির প্রভাব নিম্নরূপ:
- প্রাচীন ভারত: প্রাচীন ভারতে বিভিন্ন রাজ্য ও শাসক বিভিন্ন রাজনৈতিক নীতি অনুসরণ করেছে। এই রাজনৈতিক নীতিগুলি ভারতীয় সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। উদাহরণস্বরূপ, মৌর্য সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক নীতি ভারতীয় ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
- মধ্যযুগীয় ভারত: মধ্যযুগীয় ভারতে বিভিন্ন রাজ্য ও শাসক বিভিন্ন রাজনৈতিক নীতি অনুসরণ করেছে। এই রাজনৈতিক নীতিগুলি ভারতীয় সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। উদাহরণস্বরূপ, মুঘল সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক নীতি ভারতীয় ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
- আধুনিক ভারত: আধুনিক ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে, যেমন স্বাধীনতা সংগ্রাম, বিভাজন, গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি। এই ঘটনাগুলি ভারতীয় ইতিহাসের গতিপথকে বদলে দিয়েছে।
বর্তমানে ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ভারতের রাজনীতি ভারতীয় সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।