সুলতানীর পতন ও মোঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা
(Disintegration of the Sultanate and Foundation of Mughal Empire)
১। দিল্লীর সুলতানীর কেন পতন হয়েছিল?
(Why did the Sultanate of Delhi fall?)
উত্তরঃ– দিল্লীর সুলতানী শাসনের পতনের জন্য দায়ী ছিল কিছু অযোগ্য ও অপদার্থ সুলতান, অভিজাত সম্প্রদায়ের স্বার্থ, আঞ্চলিকতাবাদ, জাতীয়তাবাদের অভাব, জাতীয় সমর্থনের অনুপস্থিতি এবং বৈদেশিক আক্রমণ।
২। বাবর কেন ভারত জয়ে সমর্থ হয়েছিল ?
(Why was Babur able to conquer India?)
উত্তরঃ– অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদ, সামরিক প্রতিভা, সমকালীন ভারতে অনৈক্য ও সার্বভৌম শক্তির অনুপস্থিতি বাবরকে ভারত জয়ে সাহায্য করেছিল।
৩। বাবরের আক্রমণের সময় ভারতে উল্লেখযোগ্য রাজ্যগুলি কি ছিল?
(What were the notable states in India at the time of Babar’s invasion?)
উত্তরঃ– প্রখ্যাত সমর বিজেতা বাবরের আক্রমণের সময় ভারতে উল্লেখযােগ্য রাজ্যগুলি ছিল খান্দেশ, মালব, কাশ্মীর, গুজরাট, বাংলাদেশ, বিজয়নগর, গুজরাট, মেবার ও সিন্ধু।
৪। মোঘল’ জাতির পরিচয় সম্বন্ধে একটি টীকা লেখ।
(Write a note about the identity of the Mughal nation.)
উত্তরঃ– তুর্কো–আফগান যুগে মোঙ্গলেরা নিরন্তর সমস্যা সৃষ্টি করেছিল। এই মোঙ্গল জাতি থেকে মোঘলদের আবির্ভাব হয়। বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত মোঙ্গল জাতি চেঙ্গিস খাঁ বা তেমুচিনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক স্বাধীন রাজ্য গঠন করে। চেঙ্গিস খাঁর জীবনাবসানের পর এই স্বাধীন সাম্রাজ্য খণ্ডিত–বিখণ্ডিত হয়ে যায়। তার দ্বিতীয় পুত্র চাঘতাই খাঁ মধ্য এশিয়ার কর্ণধার ছিলেন। এই বংশে তৈমুরলঙ্গের আবির্ভাব হয় এবং তাঁর প্রচণ্ড আক্রমণের আঘাতে দিল্লীর সুলতানী শাসনের অবসান ঘটে। বাবর ছিলেন চেঙ্গিস খাঁ ও তৈমুরলঙ্গের উত্তর পুরুষ। যােদ্ধা হিসাবে তিনি ইতিহাস বিখ্যাত। ভারতে রাজনৈতিক অনৈক্য, জাতীয় রাষ্ট্রের অনুপস্থিতির সুযােগে মোঘলরা ভারতে প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত করেন।
৫। ‘বাবরনামা‘ কার রচনা ?
(Who wrote ‘Baburnama’?)
উত্তরঃ– মোঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবর তুর্কী ভাষায় এই গ্রন্থটি রচনা করেন। এই গ্রন্থের প্রকৃত নাম তুজুক–ই–বাবরী’। পায়ান্দা খাঁ এবং আব্দুর রহিম খান–ই খানান কর্তৃক এটি ফাসী ভাষায় অনূদিত হয়ে বাবরনামা‘ নামে অভিহিত হয়। এই গ্রন্থখানি বাবর শেষ করে যেতে পারে নি। এটি হল আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ।
৬। বাবর নামা’ গ্রন্থের বিষয়বস্তু কি?
(What is the content of Babur Nama?)
উত্তরঃ– ‘বাবর নামা’ হল একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। এই গ্রন্থ থেকে বাবরের জীবনের সমস্ত ঘটনা এবং ভারত, আফগানিস্থান ও মধ্য–এশিয়া সম্বন্ধে বহু তথ্য পাওয়া যায়।
৭। শের খাঁ নামের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
(Explain the meaning of the name Sher Khan.)
উত্তরঃ– শেরশাহের প্রথম নাম ছিল ফরিদ খাঁ। ১৫২২ খ্রীঃ বিমাতার দুর্ব্যবহারে ফরিদ খাঁ। গৃহত্যাগ করে বিহারের শাসনকর্তা বাহার খাঁর অধীনে চাকরি গ্রহণ করেন। এই সময় শিকারে গিয়ে সাধারণ একটি ছুরি দ্বারা ফরিদ খাঁ একটি বাঘ বা শেরকে হত্যা করেন। তাঁর সাহসিকতার জন্য বাহার খাঁ তাকে ‘শের খাঁ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। চৌসার যুদ্ধে জয়লাভ করে বাংলা ও বিহারের স্বাধীন সুলতান বলে নিজেকে ঘােষণা করেন এবং শেরশাহ’ উপাধি ধারণ করেন। সুতরাং ‘শের খাঁ’ হল উপাধি নাম নয়।
৮। শেরশাহের মুঘল প্রতিপক্ষ কে ছিলেন? তিনি শেষ কোন্ যুদ্ধে শেরশাহের দ্বারা পরাজিত হন?
(Who was the Mughal opponent of Sher Shah? He fought the last battle with Sher Shah Defeated?)
উত্তরঃ– শেরশাহের মুঘল প্রতিপক্ষ ছিলেন হুমায়ুন। কনৌজের যুদ্ধে (১৫৪০ খ্রীঃ) শেরশাহ কর্তৃক হুমায়ুন শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন।
৯। প্রথম পাণিপথের যুদ্ধ কত সালে কাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়?
(In what year was the first waterway war fought?)
উত্তরঃ– বাবর ১৫২৬ খ্রীষ্টাব্দে প্রথম পাণিপথের যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করে ভারতে মোঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করেন।
১০। খানুয়ার যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ?
(When the battle of Khanuya, between whom was held?)
উত্তরঃ– ঐতিহাসিক ‘খানুয়ার যুদ্ধ’ ১৫২৭ খ্রীষ্টাব্দে মোঘল সম্রাট ও মেবারের রানা সংগ্রাম সিংহের মধ্যে সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে রাজপুত শক্তি পরাজিত হয়।
১১। কবে কাদের মধ্যে ঘর্ঘরার যুদ্ধ সংঘটিত হয় ?
(When the battle of Gharghara took place between whom?)
উত্তরঃ– বাবর রাজপুত দর্প খর্ব করার পর আফগানদের বিরোধিতার সম্মুখীন হন। এই সময় তার বিরুদ্ধে জৌনপুরের শাসনকর্তা মামুদ লোদী, বিহারের কর্ণধার শের খাঁ এবং বাংলার ভাগ্যবিধাতা নসরৎ শাহের মধ্যে এক শক্তিজোট সৃষ্টি হয়েছিল। বাবর ১৫২৯ খ্রীষ্টাব্দে সংঘটিত ঘর্ঘরার যুদ্ধে এদের পরাজিত করে মোঘল সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণ করেন।
১২। চৌসার যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে সংঘটিত হয়?
(When the battle of Chausa took place, between whom?)
উত্তরঃ– হুমায়ূন ১৫৩৯ খ্রীষ্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে আফগান অধিপতি শের খাঁর কাছে পরাজিত হয়ে ভারত ছেড়ে পালিয়ে যান।
১৩। কে কোন্ যুদ্ধের সাহায্যে পুনরায় আফগান প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করেন?
(Who re-established Afghan supremacy with the help of which war?)
উত্তরঃ– শেরশাহ ১৫৪০ খ্রীষ্টাব্দে কনৌজের যুদ্ধে মোঘল সম্রাট হুমায়ুনকে পরাজিত করে ভারতে আফগান প্রাধান্য পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করেন।
১৪। শের খাঁ (শাহ) কোথায় কবে জন্মগ্রহণ করেন এবং কবে কোথায় তার জীবনাবসান হয়?
(Where was Sher Khan (Shah) born and when did he die?)
উত্তরঃ– ভারত ইতিহাসের অন্যতম সম্রাট শের খাঁ ১৪৮৪ খ্রীষ্টাব্দে ফিরোজা নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন এবং সীমিত সময়ের মধ্যে ইতিহাসের স্বর্ণময় অধ্যায় রচনা করার পর তিনি। ১৫৪৫ খ্রীষ্টাব্দে কালিগঞ্জের দুর্গে বিস্ফোরণের ফলে মারা যান।
১৫। শের খা (শাহ) কোন্ কোন্ রাজ্য জয় করেন?
(Sher Kha (Shah) conquered which kingdoms?)
উত্তরঃ– ভারত ইতিহাসের এক অধ্যায় সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব শের খাঁ গৌড়, জৌনপুর, বারাণসী, রোটাস, কনৌজ, মাড়ওয়ার রাজ্য জয় করেন।
১৬। শেরশাহের রাজপুত নীতি কি ধরনের ছিল ?
(What was the Rajput policy of Sher Shah?)
উত্তরঃ– শেরশাহ অন্যান্য অঞ্চল জয় করে নিজ সাম্রাজ্যভুক্ত করলেও রাজপুতদের ক্ষেত্রে ভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি রাজপুত শাসকদের একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্ররােচিত করে রাজপুত শক্তি অবক্ষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন।
১৭। শেরশাহের নরপতিত্ত্বের আদর্শ কি ছিল ?
(What was the ideal of Sher Shah’s anthropomorphism?)
উত্তরঃ– ভারতের মধ্যযুগের ইতিহাসে শেরশাহ যুদ্ধবিজেতা ও শাসক হিসাবে পরিচিত। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে, জনগণের ঐকান্তিক ইচ্ছার ওপর প্রতিষ্ঠিত সাম্রাজ্য স্থায়ী হয়। তাই তিনি জনকল্যাণকর বা জনহিতৈষী নীতি অনুসরণ করেছিলেন।
১৮। কবুলিয়ৎ ও পাট্টা কে প্রচলন করেন ?
(Who introduced Kabuliyat and Patta?)
উত্তরঃ– শেরশাহের অন্যতম স্মরণীয় সংস্কার হল ভূমি সংস্কার। সাম্রাজ্যের স্বার্থরক্ষার ব্যাপারে যেমন রাজস্বের প্রয়ােজন ছিল, তেমনি প্রজাদের স্বার্থরক্ষাও বাস্তবায়িত করার জন্য শেরশাহ কবুলিয়ৎ’ ও ‘পাট্টার’ ব্যবস্থা করেন।
১৯। শেরশাহ প্রবর্তিত কবুলিয়ৎ’ও ‘পাট্টা’ বলতে কি বুঝ?
(What do you mean by ‘confession’ or ‘lease’ introduced by Sher Shah?)
উত্তরঃ– শেরশাহ প্রবর্তিত কবুলিয়ৎ হল রাজকীয় অধিকার এবং পাট্টা হল প্রজাসাধারণের অধিকারের নির্দেশক। সরকার প্রজাকে জমির সীমানা, স্বত্ব প্রভৃতি স্বীকার করে একটি দলিল প্রদান করত। তাকে বলা হত পাট্টা। প্রজারাও তাদের কর্তব্য, স্বত্ব ও খাজনার পরিমাণ উল্লেখ করে সরকারকে একটি দলিল জমা দিত। তাকে বলা হত কবুলিয়ৎ।
২০। শেরশাহের দুটি কার্যের বিবরণ দাও।
(Give details of two works of Sher Shah.)
উত্তরঃ– প্রথমতঃ শেরশাহ কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে ‘পাট্টা’ ও ‘কবুলিয়ৎ’ প্রথার প্রবর্তন করেন।
দ্বিতীয়তঃ শেরশাহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে দীর্ঘ চারটি রাস্তা নির্মাণ করেছিলেন। রাস্তাগুলির মধ্যে বাংলাদেশের সোনার গাঁ হয়ে সিন্ধু পর্যন্ত বিস্তৃত সড়ক যা বর্তমানে গ্রাণ্ড ট্রাঙ্ক রোড নামে পরিচিত আজও ভারতের সম্পদ।
২১। শেরশাহের আমলের দুটি শিল্প সৃষ্টির উদাহরণ দাও।
(Give examples of creation of two industries during the reign of Sher Shah.)
উত্তরঃ– শিল্প–স্থাপত্যের ক্ষেত্রে শেরশাহের অবদান অবিস্মরণীয়। দিল্লীর পুরানো কেল্লা শেরশাহের এক অমর কীর্তি। বিহারের সাসারামে শেরশাহের সমাধি মন্দির অন্যতম স্থাপত্য কীর্তি হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
২২। শেরশাহ কিরূপ শাসক ছিলেন?
(What kind of ruler was Sher Shah?)
উত্তরঃ– শেরশাহ ছিলেন প্রজাহিতৈষী স্বৈরাচারী শাসক। ডঃ কানুনগোর মতে শেরশাহের সংস্কারে ব্রিটিশদের অপেক্ষা আরও বেশী প্রতিভার পরিচয় ছিল। ঐতিহাসিক আর্সকীন–এর মতে, আকবরের পূর্বে আইন প্রণেতা ও প্রজাদের অভিভাবক হিসাবে শেরশাহ ছিলেন যে কোন শাসক অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
২৩। শেরশাহের শাসন বিন্যাস কি ধরনের ছিল ?
(What was the regime of Sher Shah?)
উত্তরঃ– সীমিত সময়ের মধ্যে শেরশাহ যোদ্ধা ও শাসক হিসাবে অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় রেখে গেছেন। তিনি তাঁর শাসনকে দুটি ভাগে ভাগ করেছিলেন যথা কেন্দ্রীয় শাসন ও প্রাদেশিক শাসন। আবার সাম্রাজ্যেকে ৪৭ টি প্রদেশে ভাগ করে প্রাদেশিক শাসন কর্তা নিযুক্ত করেন।
২৪। হুমায়ূন কোন্ বিদেশী শাসকের সাহায্য লাভ করেন ?
(Humayun got the help of a foreign ruler?)
উত্তরঃ– ইতিহাসের এক ভাগ্যবিড়ম্বিত শাসক হলেন হুমায়ূন। তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের উত্থান–পতনের মধ্যে দিয়ে এগিয়েছিলেন। তাকে পারস্যরাজ তহমাপ সৈন্য ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছিলেন হৃতরাজ্য পুনরুদ্ধারের জন্য।
২৫। হুমায়ূন তার তিন ভ্রাতাকে কোথাকার শাসক নিযুক্ত করেন?
(Where did Humayun appoint his three brothers as rulers?)
উত্তরঃ– হুমায়ুন তার ভ্রাতার মধ্যে মীর্জা কারমানকে কাবুল, কান্দাহার ও পশ্চিম পঞ্জাবের, আসকরীকে সম্ভলের এবং হিন্দালকে আলােয়ার অঞ্চলের শাসক নিযুক্ত করেছিলেন।
২৬। হুমায়ূন কত খ্রীষ্টাব্দে কোন্ বিদেশী শাসকের সাহায্যে পুনরায় ক্ষমতা দখল করেন?
(In which year did Humayun regain power with the help of a foreign ruler?)
উত্তরঃ– হুমায়ূন ১৫৪৫ খ্রীঃ পারস্য সম্রাট শাহ তহমাপের সাহায্যে পুনরায় কাবুল ও কান্দাহার দখল করেন। চুক্তির শর্তানুসারে কান্দাহার পারস্য–সম্রাটকে সমর্পণ করেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে শাহ তহমাপের মৃত্যু হলে হুমায়ুন তা পুনরায় দখল করেন। তার পর ১৫৫৫ খ্রীস্টাব্দে লাহোর, দিল্লী ও আগ্রা পুনরুদ্ধার করেন।
২৭। হুমায়ূনকে সাহায্য করতে পারস্যসম্রাট শাহ তহমাল্প কি শর্ত আরোপ করেছিল?
(What conditions did the Persian emperor Shah Tahmalp set to help Humayun?)
উত্তরঃ– পারস্য সম্রাট শাহ তহমাল্প ছিলেন শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত। তাই প্রথম শর্ত ছিল হুমায়ুনকে শিয়া ধর্ম গ্রহণ করতে হবে এবং ভারতবর্ষে শিয়া ধর্ম প্রচার করতে হবে। দ্বিতীয় শর্ত ছিল আফগানিস্থান পুনরুদ্ধারের পর কান্দাহার পারস্য সম্রাটের হাতে তুলে দিতে হবে।
২৮। ব্রহ্মজিৎ গৌড়’ কে ছিলেন ?
(Who was Brahmajit Gaur?)
উত্তরঃ– শেরশাহ শাসনের ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করেছিলেন। তার শাসনের মাপকাঠি ছিল যোগ্য। সেখানে তিনি কোন সাম্প্রদায়িকতার পরিচয় দেন নি। তাই তিনি যোগ্যতাসম্পন্ন হিন্দুদের নিয়োগ করতে ইতস্তত করেন নি। ব্রহ্মজিৎ গৌড়ের যোগ্যতায় মুগ্ধ হয়ে শেরশাহ তাকে সেনাপতি পদে বরণ করে নেন।
২৯। শেরশাহের আমলের দুটি শিল্প সৃষ্টির উদাহরণ দাও।
(Give examples of creation of two industries during the reign of Sher Shah.)
উত্তরঃ– ‘দিল্লীর পুরানো কেল্লা, বিহারের সাসারামে ‘শেরশাহের সমাধি মন্দির’, ফতেপুর সিক্রী’, জাহাঙ্গীর মহল’ মুঘল ভারতের চারটি বিখ্যাত স্থাপত্য নিদর্শন।
নানা রঙের ইতিহাসে স্বাগতম। পাঠকের জন্য শুভকামনা। এই নোটটি ইতিহাস অনার্স ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আদর্শ নোট। এই নোটটি নির্দ্বিধায় পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ব্যাবহার করতে পারেন।
আমরা ইতিহাস নিয়ে কাজ করে থাকি। ইতিহাস নিয়ে কোন প্রশ্ন নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করতে, আমাদের Whasapp Group & Telegram Channel এ যোগ দিন।
মধ্য ভারতের ইতিহাসের অন্যান্য বড় প্রশ্ন উত্তরঃ-
1.
6. শিবাজীকে কি মধ্যকালিন ভারতের সর্বশ্রেষ্ট
8. আলাউদ্দিন খিলজি বাজারদর নিয়ন্ত্রণ
10. জায়গিরদারি সঙ্কট