[New] ৪ঠা মে আন্দোলন [May Fourth Movement] | Nana Ronger Itihas। PDF [Download]

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Group Join Now

 

Question:- What is ‘May Fourth Movement’ described as a Political, Social, Literary and Intellectual Movement all combined into one?
Q. Access the importance of the May Fourth Movement in China.
Q. What is May Fourth Movement?
Q. Write a note on the Political feature of the May Fourth Movement.
Q. Discuss the cultural impact of the May Fourth Movement.
Q. Write a short note on the significance of the May Fourth Movement.
 
প্রশ্ন, ‘৪ঠা মে আন্দোলন’কে কিভাবে বর্ণনা করবে যে, এই আন্দোলন ছিল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাহিত্যিক এবং বৌদ্ধিক আন্দোলন?
প্র:-৪ঠা মে আন্দোলন কী?
প্র:- ৪ঠা মে আন্দোলনের সাংস্কৃতিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা কর।
প্র:- ৪ঠা মে আন্দোলনের তাৎপর্য ব্যাখা কর।
প্র: চীনে ৪ঠা মে আন্দোলনের গুরুত্ব মূল্যায়ন করো।

 

উত্তর:-

‘৪ ঠা মে আন্দোলন’ চীনের ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করেছিল। ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে ৪ঠা মে পিকিং- এর ছাত্ররা চিনের প্রতি জাপান সরকারের অপমানজনক দাবির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আন্দোলন সংগঠিত করেন। এই আন্দোলন শুধুমাত্র যুবছাত্র দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা ক্রমশ একটি সামাজিক ও বৌদ্ধিক বিপ্লবের রূপ নেয়। এই আন্দোলন সাধারণভাবে ৪ঠা মে আন্দোলন নামে পরিচিত। চিনা ঐতিহাসিক হো- কান – চি বলেন –
“The patriotic may 4th Movement moved the outbreak of a new revolutionary storm and the advance of the Chinese revolution to a new stage”
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ৫ ই মে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা পিকিং ছাত্র সংগঠন তৈরি করে, ৪ঠা মে-র আন্দোলন কে সমগ্র চীনে ছড়িয়ে দিতে সচেষ্ট হয়। সংবাদপত্র গুলি এবং চীনের বিভিন্ন স্তরের মানুষ, বিশেষ করে বুর্জোয়া শ্রেণি, শিক্ষক, আইনজীবী, শ্রমিক সকলেই ছাত্রদের এই আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এই ছাত্র আন্দোলনকে দমন করার জন্য পুলিশ বাহিনী চূড়ান্ত নিষ্ঠুরতা অবলম্বন করে। পুলিশের নিষ্ঠুর দমননীতির প্রতিবাদে হাজার ১৯ মে বিপ্লবী ছাত্রদল একটি সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেন। সরকারপক্ষ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘাতের ফলে আন্দোলন দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার আন্দোলনকারীদের যুক্তি ও দাবি-দাওয়া মেনে নিয়ে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আন্দোলন পরবর্তী যুগে উত্থান ঘটেছিল এক নতুন চীনের, যদিও তা ফলপ্রসূ হয়েছিল পরবর্তী বহু বছরে।

৪ঠা মে আন্দোলনের রাজনৈতিক দিক:-        

৪ঠা মে-র আন্দোলনের প্রেক্ষাপট বিদ্যমান ছিল রাজনৈতিক অসহায়তা, ইউয়ান-সি-কাই – এর অপশাসন, জাপানের ২১দমন দাবি এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে প্যারিসের শান্তি সম্মেলনে চীনের প্রতি বঞ্চনা। ইউয়ানের শাসনকালে বিশেষ ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাস থেকে ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে জাপান চীনের কাছে ২১দমণ দাবি পেশ করে। ইতিমধ্যে ইউয়ান-সি-কাই নিজেকে ‘সম্রাট’ হিসেবে ঘোষণা করতে প্রয়াসী হলে দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যায়।’কুয়োমিন্টাং’দল এবং চীনের যুবসমাজ ইউয়ান-সি-কাই কে সম্রাট হিসেবে চায়নি।
৪ঠা আন্দোলনের সাথে চীনের যুবসমাজ নতুন জাগরণের পথে এগিয়ে গিয়েছিল এবং তাদের নতুন পদক্ষেপের অঙ্গ ছিল জাপানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা এবং প্যারিসের শান্তি চুক্তির শর্তাবলী কে অস্বীকার করা। এই পদক্ষেপের অঙ্গ হিসেবে চীনের সর্বত্র জাপানি দ্রব্যের বয়কট শুরু হয়। এর ফলে চীনের স্বদেশী শিল্পে এক নতুন জোয়ার আসে এবং চীন শিল্পক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীলতার দিকে এগিয়ে যায়।

৪ঠা মে আন্দোলনে  সামাজিক দিক:-    

৪ঠা মে আন্দোলন যে সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটিয়েছিল তার অবশ্যম্ভাবী ফল ছিল আধুনিক চীনের সামাজিক নবজাগরণ। অধ্যাপক চার্লস ডারউইন, হারবার্ট স্পেনসার ও মন্তেস্কু যে সকল গ্রন্থ লিখেছেন এবং চেন-তু-শিউ ও হু-শি নতুন চীনের জাগরনে যে বাণী দিয়েছিলেন তার পরিণতিতে কনফুসীয়বাদী চীনের সামাজিক পরিকাঠামো ও সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী ছিল। কনফুসিয়াস প্রকৃত অর্থে ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই পাশ্চাত্যের যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের আদর্শ প্রচারিত হওয়ার কারণে প্রগতিশীল শিক্ষিত যুব সমাজ ধ্যান ধারণা থেকে কনফুসিয়বাদ বিতারিত করেছিল। সামাজিক পরিকাঠামো কিভাবে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রবাদের ভিত্তিতে গড়ে তোলা যায় তার অনুশিলনে মনোনিবেশ করেছিল চীনের শিক্ষিত সমাজ।
৪ঠা যে আন্দোলন ও নতুন সংস্কৃতি:- ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে চীনের শহরগুলিতে যে নতুন সংস্কৃতির জোয়ার এসেছিল তারই অনিবার্য পরিণতি হিসেবে ৪ঠা মে আন্দোলন হয়েছিল। এই সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মূল বৃহৎ ভূমিকা নিয়েছিল পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকবৃন্দ। তাঁরা পাশ্চাত্যের বিজ্ঞান ও দর্শনের উপর বহুসংখ্যক গ্রন্থ রচনা করে চীনের কনফুসীয় মানসিকতাকে আধুনিক ইউরোপের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক হু-শি প্রাচীন চীনের ভাষায় নিয়ম কানুন এবং ধ্রুপদী সাহিত্যের গন্ডি থেকে মুক্ত হয়ে নতুন সাহিত্য-সাধনার দিকে মনোনিবেশ করতে সকলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সংবাদপত্র প্রচলন করে হু-শি চীনের আধুনিক ভাষা ও সাহিত্য কে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন।

Leave a Reply