[PDF] Sindhu Sabhyata by Irfan Habib | Ancient Indian History
[PDF] সিন্ধু সভ্যতা: ইরফান হাবিব | প্রাচীন ভারতের ইতিহাস
[Download] Sindhu Sabhyata by Irfan Habib | History Book
[Download] সিন্ধু সভ্যতা: ইরফান হাবিব | ইতিহাস বই
[PDF] সিন্ধু সভ্যতা ইরফান হাবিব – মুখবন্ধ
এই রচনা সম্ভারটি প্রস্তাবিত ভারতবর্ষের মানুষের ইতিহাসের দ্বিতীয় অংশ। গত বছর প্রকাশিত প্রাক-ইতিহাস যে কালপর্বে পৌঁছেছিল, সেখান থেকেই এবারের কাহিনীর শুরু। এখানে সিন্ধুসভ্যতাই প্রধান আলোচ্য বিষয়; সেইসঙ্গে রয়েছে প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সময়কাল পর্যন্ত সমসাময়িক ও পরবর্তী অন্যান্য সংস্কৃতিগুলির কথা এবং এছাড়া বর্তমানকালের ভারতবর্ষের প্রধান প্রধান ভাষাগোষ্ঠীর বিষয়ে আলোচনা।
সিন্ধু সভ্যতা গ্রন্থটি তার শৈলী এবং গঠনকাঠামোয় প্রাক-ইতিহাস-এর সঙ্গে সমরূপতা বজায় রাখতে চেয়েছে। সম্ভবত সংক্ষিপ্ত আকারের প্রতি দায়বদ্ধতা এবারে একটু শিথিল হয়েছে। কেননা কতকগুলো বিষয়ে আরও বিশদ ব্যাখ্যা বা বর্ণনার জন্য একটু বেশি স্থানের আয়োজন করতেই হয়েছে। আর তিনটি অধ্যায়ের শেষেই পারিভাষিক এবং বিতর্কিত বিষয়গুলির জন্য ব্যাখ্যামূলক টীকা যুক্ত করতে হয়েছে। সেগুলো একটু দীর্ঘই হয়ে গেছে।
পাঠকদের আরও একবার স্মরণ করানো যেতে পারে যে, প্রাক্-ইতিহাসের মত এখানেও ভারতবর্ষের অর্থ হলো প্রাক-বিভাজিত ভারত। যদিও কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রসঙ্গে ভারতবর্ষ বলতে হয়ত ভারতীয় প্রজাতন্ত্র আরও সীমাবদ্ধ অর্থে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা যখন অতীতের কাহিনী বলতে বসি, তখন যেহেতু বর্তমানকালের সীমানারেখার কোনো অর্থই থাকে না, সেজন্য এই গ্রন্থে উল্লিখিত সমগ্র ক্ষেত্রটি হিন্দুকুশ পর্বতমালার দক্ষিণে আফগানিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত। তদনুসারে, হেলমান্দ সভ্যতার প্রসঙ্গে একটি উপ-অধ্যায় যুক্ত করতে হয়েছে। সিন্ধু সভ্যতাকে সঠিক দৃষ্টিকোণে অনুভব করতে উপরোক্ত সভ্যতার আলোচনা অপরিহার্য।
এখানে যে সমকালের আধারে আলোচনা, তাকে প্রায়শই প্রত্ন-ইতিহাস বলা হয়। কেননা এখন আমরা সেই যুগপর্বে-র সন্নিকটে এসে পৌঁছেছি, যখন লিখিত রচনা থেকে ইতিহাসের অন্তত একাংশ পুনর্নির্মাণ করা যায়। এরকম সব রচনা থেকে আহরিত বা পুনর্নির্মিত শব্দাবলী, প্রাচীন ভাষার মধ্যে যাদের সন্ধান মেলে, বেশ কয়েকটি প্রসঙ্গ আলোচনায় বর্তমান সন্দর্ভে কখনো কখনো তারা উপস্থিত হয়েছে। অবশ্য তাদের সংখ্যা আবশ্যিকভাবেই খুব অল্প। কয়েকটি উদ্ধৃত শব্দ রয়ে গেছে, যাদের বিষয়ে পাঠক একটু অসুবিধায় পড়তে পারেন। তাদের জন্য আমাদের অনুবাদ-ভাষান্তরের আদর্শ পদ্ধতির পৃথক ব্যাখ্যা দেওয়া হলো। কেননা এরকম ব্যাখ্যা ব্যতিরেকে, বৈশিষ্ট্যসূচক চিহ্ন এবং সেইসঙ্গে IPA(International Phonetic Alphabet)-এর বিষয়ে ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানীদের রেখাঙ্কনে যেসব অতিরিক্ত অক্ষর ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলি সঠিক অনুধাবন করা যাবে না।
মূল ধ্বনির ঘনিষ্টতম সাযুজ্যযুক্ত ইংরাজী শব্দ আমি ব্যবহার করেছি। উচ্চারণ নির্দেশক চিহ্ন বাদ দিয়ে সহজ বানানে ঋগবেদ ( Rgveda নয় Rigveda) কিংবা অশোক (‘Asoka’ নয় ‘Ashoka’) লিখেছি। বিভিন্ন রচনাকারের নিজস্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের পরবর্তী গ্রন্থ সমূহে এ রীতি অনুসৃত না-ও হতে পারে।
‘প্রাক-ইতিহাস’ সাধারণ্যে এমন সমাদৃত হওয়ায় এবং এর উপস্থাপনার উন্নতিকল্পে অনেক প্রস্তাবনা পাঠানোয় আমি কৃতজ্ঞ। একজন সহমর্মী সমালোচক নানান প্রসঙ্গসূত্র উল্লেখের বিষয়ে কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু আমার কথা হল, অনেক মানুষের কাছে ইতিহাসের এই পাতাগুলি পৌঁছে দেবার জন্য এমন একটি কাজ শুরু করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্তব্যের জন্য পাদটীকায় উদাহরণের স্তূপ ভরিয়ে তোলা মোটেই সম্ভব নয় কিংবা এ কাজে আমাকে যত গ্রন্থাদি, গবেষণাপত্র, প্রতিবেদনের সাহায্য নিতে হয়েছে তাদের অফুরান তালিকা গ্রন্থপঞ্জীতে সংযুক্ত করাও ততোধিক অসম্ভব। নিশ্চয়ই সকলে এটি উপলব্ধি করতে পারবেন। তবে বেশিরভাগ রচনার শেষে সংশ্লিষ্ট গ্রন্থপঞ্জীতে বিস্তৃত গ্রন্থতালিকা পাওয়া যেতে পারে। টীকার উদ্দেশ্যও তাই; প্রসঙ্গানুযায়ী সেখানে সংশ্লিষ্ট বা অত্যাধুনিক তথ্যাদি রয়েছে। মূলত সেগুলি অধ্যয়নের জন্য পাঠককে উৎসাহিত করাই টীকার আসল উদ্দেশ্য। তাই নির্বাচনকে অর্থবহ করে তুলতে পূর্বেকার অনেক পদপ্রদর্শকের গবেষণাকর্মেরও উল্লেখ করা যায়নি। এরকম ত্রুটিবিচ্যুতির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করা ছাড়া আর তো কোনো উপায় দেখি না।
ভূপালের মধ্যপ্রদেশ টেক্সট বুক কর্পোরেশনের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে সহৃদয় অনুদান পাওয়া গিয়েছে। সেকারণেই প্রস্তাবিত ভারতবর্ষের মানুষের ইতিহাস এর নাড়ী এখন সবল। অনেক কৃতজ্ঞতা তাঁদের প্রাপ্য। তবে প্রস্তাবিত কাজটি যে শম্বুকগতিতে চলছে, সম্পাদক হিসাবে তার সমস্ত ত্রুটির দায়ভার নিম্নসাক্ষরকারী মাথা পেতে নিচ্ছে।
এই রচনা সম্ভার প্রসঙ্গে প্রখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ অধ্যাপক সুরজ ভান-এর সহৃদয়তা কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করতে চাই। অত্যন্ত অল্প দিনের কড়ারে তিনি সমগ্র পাণ্ডুলিপি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে দেখেছেন। সমস্ত মানচিত্র (২.২ (ক) এবং (খ) মানচিত্র দু’টি ব্যতিরেকে) এঁকেছেন আমার পুত্র ফয়েজ হাবিব। আমার সঙ্গে সমগ্র রচনাটি পড়বার জন্যে আম্বের হাবিব সারাদিনের একটি ছুটির অবকাশ নষ্ট করেছেন। গ্রন্থটির আলোকচিত্রী হলেন শ্ৰীযুক্ত গোলাম মুজতবা । গ্রন্থটির মুদ্রণে শ্রীযুক্ত মুনিরুদ্দীন খান ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিশ্রম করেছেন। সেকারণে এবং বিশেষভাবে বার বার রচনার নানান অংশে পরিবর্তন এবং পরিমার্জনের বিষয়ে তাঁর স্থৈর্য ধন্যবাদার্হ।
প্রস্তাবিত কর্মকাণ্ডটি বহমান রাখতে প্রয়োজনীয় সমস্ত সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলেছেন আলিগড় ঐতিহাসিক সোস্যাইটীর পক্ষে অধ্যাপিকা শিরীন মুসভি। ‘তুলিকা’ বুকস্-র শ্রীযুক্ত রাজেন্দ্র প্রসাদ এবং শ্রীযুক্তা ইন্দিরা চন্দ্রশেখর আমাকে অনেক ক্ষেত্রে পথ নির্দেশ ও সাহায্য করেছেন এবং প্রকাশক সংস্থার পক্ষ থেকে গ্রন্থটির একটি সু-উপস্থাপিত খণ্ড যাতে প্রকাশিত হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে অনেক অনেককিছু করেছেন।
ইরফান হাবিব
নভেম্বর, ২০০২
[PDF] সিন্ধু সভ্যতা ইরফান হাবিব – বিষয়সূচী | Page No. |
---|---|
১. সিন্ধু অববাহিকা এবং তার সীমান্ত প্রদেশে প্রাচীন ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতা | ১ p. |
১.২ হেলমান্দ সভ্যতা | ১ p. |
১.২ হেলমান্দ সভ্যতা | ৪ p. |
১.৩ প্রাচীন সিন্ধু সংস্কৃতি | ৯ p. |
১.৪ সিন্ধু সভ্যতার উন্মেষ | ১৪ p. |
টীকা ১.১ প্রত্নতত্ত্বের পদ্ধতিসমূহ | ১৮ p. |
টীকা ১.২ গ্রন্থপঞ্জীর টীকা | ২৩ p. |
২ সিন্ধু সভ্যতা | ২৫ p. |
২.১ বিস্তার এবং জনসংখ্যা | ২৫ p. |
২.২ কৃষি এবং জীবিকা | ২৭ p. |
২.৩ হস্তশিল্প উৎপাদন | ৩২ p. |
২.৪ শহর এবং নগরী | ৪১ p. |
২.৫ বাণিজ্য | ৪৯ p. |
২.৬ সংস্কৃতি : লেখনরীতি, শিল্প, ধর্ম | ৫৪ p. |
২.৭ মানুষ, সমাজ, রাষ্ট্র | ৬২ p. |
২.৮ সিন্ধু সভ্যতার অবসান | ৬৭ p. |
টীকা ২.১ সিন্ধু লিপি | ৭৩ p. |
টীকা ২.২ সিন্ধু সভ্যতা এবং ঋগবেদ | ৭৮ p. |
টীকা ২.৩ গ্রন্থপঞ্জীর টীকা- | ৮৩ p. |
৩. অ-নাগরিক তাম্র প্রস্তর সংস্কৃতিসমূহ খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অবধি ভাষার রূপবদল | ৮৬ p. |
৩.১ নগরীর পরে | ৮৬ p. |
৩.২ সীমান্তপ্রদেশের তাম্রপ্রস্তর সংস্কৃতি সমূহ এবং সিন্ধু উপত্যকা | ৯১ p. |
৩.৩ অন্যান্য তাম্রপ্রস্তর সংস্কৃতি, খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অবধি | ৯৪ p. |
৩.৪ খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০-এর পূর্বেবর্তী ভাষার রূপ বদল | ১০৩ p. |
টীকা ৩.১ ভাষা ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ | _ |
টীকা ৩.২ গ্রন্থপঞ্জীর টীকা | _ |
[PDF] সিন্ধু সভ্যতা ইরফান হাবিব – Download | History Book |
---|---|
Aothur | ইরফান হাবিব |
Year of Publication | 2013 |
Place of Publication | Kolkata |
ISBN | ৯ p. |
Language | Bengali |
Pages | 127 p. |
PDF [e-Boook] | Download Now |
File Size | 12.6 MB |
Publisher | National Book Agency |