[New] সুলতানি যুগের স্থাপত্য [Sultanate Age] । Nana Ronger Itihas। PDF [Download]

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Group Join Now

 

Discuss the architecture of the Sultanate era in India.

(ভারতে
সুলতানি যুগের স্থাপত্য আলোচনা কর।)

Art
and Architecture during Sultanate Period

Answer:-

সুলতানি
যুগে
শিল্পকলার
ক্ষেত্রে
এক
নতুন
অধ্যায়ের
সূচনা
হয়।
ফার্গুসন
সুলতানি
যুগের
শিল্পকলা
কে
ভারতীয়

আরবীয়
শিল্পরীতির
সংমিশ্রন
বলে
বর্ণনা
করেছেন।
শিল্প
বিশেষজ্ঞ
অধ্যাপক
হ্যাভেল
এর
মতে
সুলতানি
যুগের
শিল্প
অন্তরে

বাইরে
পুরোপুরি
ভারতীয়।
বলা
বাহুল্য,
এই
মন্তব্যগুলি
বর্তমানে
গ্রহণযোগ্য
নয়।
কারণ
ভারতীয়
স্থাপত্যের
বৈশিষ্ট্য
ছিল
যে,
পাথরের
উপর
পাথর
বসিয়ে
বা
থামের
ওপর
ছাদ
ধরে
রাখা
হতো।
তাছাড়া
পাথরের
গায়ে
ভাস্কর্যের
বা
খোদাইয়ের
কাজ,
মানুষ
বা
জীবজন্তুর
চিত্র
খোদাই
করা
হতো।
তুর্কিরা
যখন
ভারতে
আসে,
তারা
আরবীওপারসিক
স্থাপত্য
রীতি
বয়ে
আনে।
এই
স্থাপত্যের
মূল
বৈশিষ্ট্য
ছিল
খিলান

গম্বুজ।
মধ্যযুগের
স্থাপত্যে
ভারতীয়

ইসলামীয়
শিল্প
মিলেমিশে
ছিল।
এই
দুই
শিল্পধারা
মিশেই
তৈরি
হয়
ইন্দোইসলামীয়
বা
ইন্দোসারাসেনিয়
শিল্প
রীতি।
স্যার
জন
মার্শালের
মতে

“The
genius of both Hindu and Muslim craftsmen blended to achieve a unique genre of
art and architecture during this time. It is, however, difficult to ascertain
the influences of different civilization in this mixed art form.”

 

ভারতের সুলতানি
আমলে
স্থাপত্য
রীতির
তিনটি
ধারা
লক্ষ্য
করা
যায়

)
দিল্লি সুলতানির স্থাপত্য বা
সুলতানি ধারা:-  
এই
ধারার
স্থাপত্য
গড়ে
উঠেছিল
দিল্লি

আজমীর
অঞ্চলে।

)
প্রাদেশিক ধারা:-
এই
ধারা
মুলতান,
বাংলা

জৌনপূরে
বিকাশলাভ
করে।

)
হিন্দু স্থাপত্যকর্ম:-
প্রধানত
রাজস্থান

বিজয়নগর
সাম্রাজ্যে  সুলতানি যুগে
হিন্দু
স্থাপত্যের
বিকাশ
ঘটেছিল।

1)দিল্লি সুলতানির স্থাপত্য:-    দিল্লির
সুলতানদের
দাঁড়া
নির্মিত
স্থাপত্য
গুলিতে
এমন
কিছু
ধরন
বা
রীতি
দেখা
যায়
যা
অন্যত্র
অনুপস্থিত।
তুর্কিরা
প্রাসাদ
নির্মাণে
চুন,
বালি

জলের
মিশ্রণে
এক
ধরনের
আস্তর
ব্যবহার
করত।
এর
ফলে
উত্তর
ভারতের
স্থাপত্যে
এই
ধরনের
আস্তর
ব্যবহার
শুরু
হয়।

তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ জয়ের
পর
১১৯৩
খ্রিস্টাব্দে
দিল্লি
জয়ের
স্মারক
হিসেবে
কুতুবউদ্দিন
আইবক
 
কুয়াৎ
উল
ইসলাম
নামে
এক
মসজিদ
তৈরি
করেন।
এই
মসজিদটি
আগে
একটি
জৈন
মন্দির
ছিল।
তিনি
১২০০
খ্রিস্টাব্দে
আজমিরে
আড়াই দিনকাঝোপড়া নামে
একটি
মসজিদ
নির্মাণ
করেন।
এটি
একটি
বৌদ্ধমঠ

সংস্কৃত
পাঠকেন্দ্রকে
পরিবর্তিত
করে
নির্মাণ
করা
হয়।

কুতুবউদ্দিনের
আমলে
বিশ্ব
বিখ্যাত
কুতুব
মিনার
নির্মাণের
সূত্রপাত
হয়।
ইলতুৎমিশের
আমলে
এর
নির্মাণ
সমাপ্ত
হয়।
ইলতুৎমিস
এই
মিনারটি
সুফিসন্ত
কুতুবউদ্দিন
বখতিয়ার
কাকির
নামে
উৎসর্গ
করেন।
এটি
পুরোপুরি
ইসলামীয়
স্থাপত্যর
রীতিতে
গঠিত
মুয়াজ্জিনের
আজান
দেওয়ার
জন্য
এটি
নির্মিত
হয়।
কুয়াৎউলইসলাম মসজিদের
মিনারটি
হলো
কুতুবমিনার
চারতলা
বিশিষ্ট
এই
মিনারের
ঝুলন্ত
কার্নিশ
গুলি
দ্বাদশ
শতাব্দীতে
নির্মিত
পারস্যের
বোস্তান
মিনারের
অনুকরণে
নির্মিত
হয়।
ফার্গুসন
এই
স্তম্ভটিকে
পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা সুন্দর নিখুঁত স্তম্ভরূপে
বর্ণনা
করেছেন। তিনি বদাউনে
জমি
মসজিদ
তৈরি
করেন।
ইলতুৎমিসের
রাজত্বকালে
অন্যতম
একটি
সৌধ
হলো
দিল্লিতে
অবস্থিত
ইলতুৎমিসের  স্বনির্মিত
সমাধিসৌধ।
এটি
একটি
চতুষ্কোণ
সৌধ।

গিয়াসউদ্দিন
বলবন
দিল্লিতে
তাঁর
লাল
প্রাসাদ
তৈরি
করেন।
বলবনের
স্মৃতিসৌধও
ছিল
ইন্দোইসলামীয়
স্থাপত্যের
এক
উৎকৃষ্ট
নিদর্শন।

আলাউদ্দিন
খলজীএর
রাজত্বকালে
নিজামুদ্দিন
আউলিয়ার
সমাধির
উপর
নির্মিত
জামাইত খাঁ মসজিদ
মুসলিম
শিল্পরীতির
চিহ্ন
সুস্পষ্ট।
জনৈক
সমালোচকদের
মতে,
এটি
সম্পূর্ণরূপে মুসলিম ভাবধারা অনুযায়ী নির্মিত ভারতের সর্বপ্রথম মসজিদ।
তাঁর  আমলে নির্মিত
উল্লেখযোগ্য
সৌধ
আলাই দরওয়াজা ভারতীয়

মুসলিম
শিল্পরীতির
একটি
শ্রেষ্ঠ
নিদর্শন

এটি
লাল
বেলে
পাথরের
তৈরি।
সূক্ষাতিসূক্ষ
কারুকার্য

অলংকরণের  প্রাচুর্য এটি
ইন্দোইসলামীয়
স্থাপত্যের
অসাধারণ
নমুনা।
এর
অবস্থান
কুতুব
চত্বরেই।
কুতুবমিনার,
ইলতুৎমিশের
সমাধি

আলাই
দরওয়াজা
সব
একসঙ্গে
নিয়ে
কুতুব
চত্বর
হয়ে
ওঠে
সুলতানি
স্থাপত্যে
নজির।

তুঘলক
যুগে
গিয়াসউদ্দিন
তুঘলক
তুঘলকাবাদ নামে
এক
প্রাসাদ
দুর্গ
কুতুবমিনারের
পূর্বদিকে
নির্মাণ
করেন।
দিল্লিতে
খলজি
উত্তরকালের
অন্যতম
কাঠামোটি
হল
সুলতান
গিয়াসউদ্দিন
তুঘলকের
সমাধি
সৌধ।
এটি
একটি
লাল
পাথরের
চতুষ্কোণ
ভিত্তির
উপর
নির্মিত।
মহম্মদ
বিন
তুঘলক
পুরাতন
দিল্লির
কাছে
জাহানপনাহ নামে
এক
প্রাসাদ
দুর্গ
তৈরি
করেন।
তুঘলক
দৌলতাবাদে
যে
দুর্গ
শহরটি
নির্মাণ
করেন
তাতে
সুন্দর
পরিকল্পনার
ছাপ
পাওয়া
যায়।
পুরাতন
দিল্লিতে
ফিরোজ
শাহ
তুঘলক
নির্মিত
ফিরোজাবাদ শহরটির
পরিকল্পনাও
খুব
সুন্দর।
এর
ভেতরে
তাঁর
প্রাসাদ
ফিরোজাশাহ
কোটলার
ধ্বংসাবশেষ
এখনো
দেখা
যায়।

 সিকান্দার লোদী
মঠ
কি  মসজিদ নির্মাণ
করেন।
ইন্দো
ইসলামীয়
স্থাপত্য
রীতিতে
লোদি
সুলতানদের
গুরুত্বপূর্ণ
অবদান
ছিল
আট
কোনা
সমাধিসৌধ
গুলি।
খয়েরপুরে
সুলতান
সিকান্দার
লোদির
সমাধির
সৌধ
আছে।

 

2)প্রাদেশিক স্থাপত্য:- সুলতানি যুগে
প্রাদেশিক
স্থাপত্য
গুলিতে
স্থানীয়
প্রভাব
লক্ষ্য
করা
যায়।
বাংলায়
প্রাচীনতম
মুসলিম
স্থাপত্য
হুগলি
জেলার
ত্রিবেণীতে
ভাগীরথীর
তীরে
অবস্থিত
জাফর
খান
গাজীর
সমাধি।
পাশে
একটি
প্রাচীন
মসজিদও
আছে।
বাংলা
সুলতানরা
বিভিন্ন
স্থাপত্য
কীর্তি
গৌড়
পান্ডুয়ায়
স্থাপন
করেন।
সিকান্দার
শাহের
নির্মিত
পান্ডুয়ার
আদিনা
মসজিদ
ভারতের
অন্যতম
বৃহৎ
মসজিদ।
পান্ডুয়ার
একলাখি
মসজিদও
বিখ্যাত।
 গৌড়ের
লোটন
মসজিদ,
বড়সোনা
মসজিদ,
ছোটসোনা
মসজিদ,
কদম
রসূল

দাখিল
দরওয়াজা
বিশেষ
বিখ্যাত।
হাবসি
শাসক
সৈফউদ্দিন
ফিরোজ
গৌরে
1490
খ্রিস্টাব্দে
নির্মাণ
করেন
ফিরোজ
মিনার।
শিল্প
রসিকরা
এই
মিনারের
স্থাপত্য
কলার
সঙ্গে
আইরিশ
শৈলির
মিল
খুঁজে
পেয়েছেন,
যদিও
ভৌগোলিক
কারণে
দুটি
ঐতিহ্যের
যোগাযোগ
সম্ভব
ছিল
না।

গুজরাটের
স্থাপত্য
শিল্প
প্রাদেশিক
স্থাপত্য
নীতির
মধ্যে
সর্বশ্রেষ্ঠ
বলা
হয়।
সুলতান
আহমদ
শাহ
একজন
বিখ্যাত
নির্মাতা
ছিলেন।
তিনি
নিজ
নামে
আমেদাবাদ
শহরের
পত্তন
করেন
এবং
বহু
সুদৃশ্য
প্রাসাদ
মসজিদ,  তোরণদ্বার ইত্যাদি
নির্মাণ
করে
শহরটি
সুসজ্জিত
করেন।
আমেদাবাদ
শহরের
সুন্দর
সুন্দর
সৌধ
গুলির
মধ্যে
বিখ্যাত
হলো
জাম
মসজিদ

মুহাফিজ
খাঁ
মসজিদ।
আহম্মদ
শাহেদ
সমাধিটিও
অপূর্ব।
জৌনপুরের
স্থাপত্যের
নিদর্শন
জামি
মসজিদ,
লাল
দারওয়াজা
মসজিদ,
আটলা
দেবী
মসজিদ
প্রভৃতি।
মালবে
হিন্দোলা
মহল,
লাল
মসজিদ
ইন্দো
ইসলামিক
স্থাপত্যের
নিদর্শন।
দাক্ষিণাত্যের
বাহমনী
রাজ্যের
স্থাপত্য
শৈলীতে
ভারতীয়,
মিশর,
ইরান

তুর্কিস্থানের
স্থাপত্য
শিল্পের
প্রভাব
চোখে
পড়ে।
গুলবর্গার
জামমসজিদ,
দৌলতাবাদের
চাঁদ
মিনার,
বিজাপুরের
মোহম্মদ
আদিল
শাহের
স্মৃতিসৌধ,
গোলগম্বুজ
প্রভৃতি
অতি
উল্লেখযোগ্য
স্থাপত্য
নিদর্শন।

3)হিন্দু স্থাপত্য:-     সুলতানি যুগে
হিন্দু
স্থাপত্যের
বিকাশ
ঘটে।
রাজস্থানের
রানা
কুম্ভের
স্তম্ভ,
ভেলোরের
কল্যাণ
মন্ডপ,
রাজা
কৃষ্ণদেব
রায়ের
তৈরি
হাজার
স্বামী
মন্দির,
বিটঠলনাথের
মন্দির
বিশেষ
বিখ্যাত।
কাঞ্চির
একেশ্বরনাথ

বরদারাজ
স্বামী
মন্দির
স্থাপত্য

ভাস্কর্যে
অতিশয়
সমৃদ্ধ।

পরিশেষে
বলা
যায়
যে,
সুলতানি
আমলের
স্থাপত্য
রীতির
এই
অভূতপূর্ব
সংমিশ্রণ
দেখে
ঐতিহাসিকগণ
বিস্মিত
হয়েছেন।
কারণ,
সুলতানি
যুগে
যে
পাঁচটি
রাজবংশ
রাজত্ব
করেছিল,
তাদের
মধ্যে
শেষ
রাজবংশটিই
একমাত্র
পাঠান
রাজবংশ
ছিল।
তাই
পার্সি
ব্রাউন
বলেছেন
“The architecture evolved under
these dynasties.”

            বিজেতা বিজিত
সংস্কৃতির
মধ্যে
আদান
প্রদান
শুরু
হয়েছিল।
তুর্কিরা
মধ্য
এশিয়া

ইরানের
স্থাপত্য
রীতি
ভারতে
এনেছিল।
উত্তর
আফ্রিকা,
মিশর,
আফগানিস্তান

দক্ষিণপূর্ব  ইউরোপের প্রভাব
পড়েছিল
ইসলামী
স্থাপত্যে
ওপর।
ভারতে
হিন্দু
মিস্ত্রি
এবং
কারিগররা
তাদের
অট্টালিকা,
প্রাসাদ,
মসজিদ
নির্মাণের
কাজের
সঙ্গে
যুক্ত
হত।
স্বাভাবিকভাবে
হিন্দু
স্থাপত্যের
প্রভাব
পড়েছিল।
অনেক
হিন্দু
মন্দির
ভেঙে
শাসকরা
তাঁদের
মসজিদ

প্রাসাদ
বানিয়েছিল।
তাই
হিন্দু
স্থাপত্যের
ছাপ
পড়ে
ছিল
ওই
সব
সৌধের
উপর।
হিন্দু
দেবদেবীর
মূর্তির
পরিবর্তে
ইসলামী
স্থাপত্যে
জ্যামিতিক
নকশা,
ফুল

কোরানের
বাণী
স্থান
পেয়েছিল।
তাই
‘Cambridge History of India’ (Vol. III. p. 568)
গ্রন্থে যথার্থই
বলা
হয়েছে,
” Broadly speaking, Indo-Islamic architecture derives its character from
both sources, though not always in an equal degree.”


মধ্য ভারতের ইতিহাসের অন্যান্য বড় প্রশ্ন উত্তরঃ-

1. সুলতানীর পতন ও মোঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা

2. ইলতুৎমিসের কীর্তি

3. 

4. ভক্তি আন্দোলন

5. শেরশাহের শাসন ব্যবস্থা

6. শিবাজীকে কি মধ্যকালিন ভারতের সর্বশ্রেষ্ট

7. দাক্ষিণাত্য ক্ষত

8. আলাউদ্দিন খিলজি বাজারদর নিয়ন্ত্রণ

9. আকবরের রাজপুত নীতি

10. জায়গিরদারি সঙ্কট

Leave a Reply