[PDF] Bharat Itihas Parikrama | ভারত ইতিহাস পরিক্রমা

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Group Join Now

Bharat Itihaser Parikrama By Prof Prabhatanshu Maiti

আধুনিক ভারতবর্ষের ইতিহাস pdf | ইতিহাস অনার্স বই pdf

ভারত ইতিহাস পরিক্রমা বই pdf download

আধুনিক ভারতবর্ষের ইতিহাস pdf | ভারত ইতিহাস পরিক্রমা PDF

ভারত ইতিহাস পরিক্রমা by অধ্যাপক প্রভাতাংশু মাইতি

[PDF] ভারত ইতিহাস পরিক্রমা by অধ্যাপক প্রভাতাংশু মাইতি | ভুমিকাঃ-

“ভারত ইতিহাস পরিক্রমা (১৮১৮ খ্রিঃ ১৯৬৪ খ্রিঃ) গ্রন্থটি প্রকাশিত হল। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রৈবার্ষিক অনার্স ছাত্রছাত্রীদের ইতিহাসের ষষ্ঠ পর, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ পত্র (১৭৫৭-১৯৬৪) এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ পত্র (১৭৫০–১৯৫০)। সাম্প্রতিক পাঠ্যসূচি অনুযায়ী এই গ্রন্থটি লিখিত। ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতের ইতিহাস, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এবং স্বাধীন ভারতের নেহেরু যুগের ইতিহাস এই গ্রন্থে পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই গ্রন্থে আধুনিক যুগের রাজনৈতিক ইতিহাস রচনা করেছেন অধ্যাপক প্রভাতাশে মাইতি এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতির ইতিহাস আমার রচনা। রাজনৈতিক ইতিহাসের অনেক বিষয়ও আমি পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করেছি। স্বাধীনতা পরবর্তী নেহেরু যুগের ইতিহাস আমি রচনা করেছি। আধুনিক ভারত ইতিহাসের প্রায় প্রতিটি বিষয় নিয়েই বিতর্ক হয়। আধুনিক ভারত ইতিহাস ভাল করে পড়বার মত তথ্যবহুল, বিশ্লেষণধর্মী উপযুক্ত আকর গ্রন্থ বাংলা ভাষায় অল্পই প্রকাশিত হয়েছে। অথচ বর্তমানে বি. এ. অনার্স ও এম. এ. স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের একটা বড় অংশ পড়াশুনার ও পরীক্ষার উত্তরের মাধ্যম হিসাবে বাংলা ভাষাকেই ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। তাঁদের দাবী মেটাবার জন্যই বাংলা ভাষায় এই গ্রন্থটি রচনা করা হয়েছে।

১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের পর ইংরাজদের হাতে ভারতের সার্বভৌম রাজনৈতিক অধিকার এসে গিয়েছিল। ভারতে ইংরাজ শাসনের ক্রম-প্রসার ও বণিক কোম্পানির সার্বভৌম শক্তিতে রূপান্তরের কথা এই গ্রন্থের শুরুতেই আলোচনা করা হয়েছে। ভারতে কোম্পানির রাজ্য বিস্তারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গভর্ণর জেনারেল কি নীতি নেন তার তুলনামূলক আলোচনা করা হয়েছে। ঔপনিবেশিক অর্থনীতির বিবরণ ও ভারতীয় সমাজের ওপর তার ফলাফল, অবশিল্পায়নের কথা, ব্রিটিশ প্রশাসনিক কাঠামো এই গ্রন্থে পর্যালোচনা করা হয়েছে। উনিশ শতকে শিক্ষার সংস্কার নীতি, সমাজ সংস্কার ও ধর্ম সংস্কার আন্দোলন, নবজাগরণ ও তার প্রকৃতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিবাদী আন্দোলন ও বিদ্রোহ সম্পর্কেও পর্যালোচনা করা হয়েছে। কৃষক ও উপজাতি বিদ্রোহকে কেবলমাত্র স্থানীয় বিদ্রোহ হিসাবে না দেখে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে Subaltern বা শোষিত শ্রেণির বিদ্রোহ হিসাবে আলোচনা করা হয়েছে। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের বিভিন্ন মতের আলোকে বিষয়টিকে বিচার করা হয়েছে। ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের পর কিভাবে ব্রিটিশ শক্তি নতুন নীতি নিয়ে ভারতে সাম্রাজ্যবাদকে বাহ্যিক উদারতার আড়ালে দৃঢ় করার চেষ্টা করে তা আলোচনা করা হয়েছে। নবজাগরণের ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির উদ্ভব ও জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা পর্বের বিভিন্ন দিক যত্ন সহকারে আলোচনা করা হয়েছে। ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালে ভারতীয় জাতীয় আন্দোলন ছিল নরমপন্থী ও সংস্কারবাণী উদারনৈতিক রাজনৈতিক নেতাদের পরিচালনাধীন। কংগ্রেসের এই মডারেট যুগ’ ও তার সীমাবদ্ধতা এবং মডারেট যুগের মল্যায়ণ এই গ্রন্থে করা হয়েছে। এই সময়কালে চরমপন্থী আন্দোলন এক নতুন ধারা সঞ্চার করে। চরমপন্থার কেন উদ্ভব হল এবং তার সামাজিক ও অর্থনৈতিক পটভূমি, চরনপন্থী আন্দোলনের গুরুত্ব আলোচনা করা হয়েছে। নিম্নবর্গের আন্দোলন, শ্রমিক, কৃষক ও উপজাতির ভূমিকাও যত্ন সহকারে আলোচনা করা হয়েছে। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের পর ভারতীয় জাতীয় আন্দোলন এক বৃহত্তর ও সংগ্রামী পর্যায়ে উন্নীত হয়েছিল। এই সময় থেকে জাতীয় আন্দোলন এক বৃহত্তর ও সংগ্রামী পর্যায়ে উন্নীত হয়েছিল। এই সময় থেকে জাতীয় আন্দোলনের সামাজিক ভিত্তি ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয় এবং সর্বভারতীয় ভিত্তিতে প্রথম গণ আন্দোলন পরিচালিত হতে থাকে। এই সময়েই ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কর্ণধাররূপে মহাত্মা গান্ধীর ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে আবির্ভাব ঘটে। গান্ধীজির নেতৃত্বে সাধারণ শ্রমিক-কৃষক ও গ্রামীণ মানুষের জাগরণ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। জাতীয় আন্দোলনে গান্ধীযুগের উদ্ভব ও তার প্রতিক্রিয়া বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। অসহযোগ, আইন অমান্য আন্দোলনের পটভূমি, বিস্তার, প্রকৃতি, উভয় আন্দোলনের তুলনা, কৃষক শ্রেণির ভূমিকা প্রভৃতি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। সমাজতান্ত্রিক ভাবধারা ও আন্দোলনের বিকাশ গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই গ্রন্থে জাতীয়তাবাদ ও নারী প্রগতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মুসলিম স্বাতন্ত্রবাদের কারণ, মুসলিম লীগের কার্যকলাপ ও দ্বিজাতিতত্ত্ব এবং পাকিস্তান আন্দোলন যত্ন সহকার আলোচনা করা হয়েছে। আগস্ট আন্দোলন, ক্ষমতা হস্তান্তর, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভূমিকাও আলোচিত হয়েছে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের অবদান ও ভূমিকা সম্পর্কে নানা মুনির নানা মত। এই গ্রন্থে তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শ ও আজাদ হিন্দ বাহিনীর মুক্তি সংগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। মোট কথা, সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী সংগ্রাম, সামাজিক, অর্থনৈতিক রূপান্তর, ধর্ম, সাহিত্য ও সংস্কৃতির জগতে নানা পরিবর্তন, সাম্প্রদায়িকতা ও দেশভাগ—সব কিছু এই গ্রন্থে আলোচনা করা হয়েছে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের নানা স্তর নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা এই গ্রন্থে আছে। এখন তিন প্রকার ব্যাখ্যার ভিত্তিতে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে ঐতিহাসিকরা বিচার করেন, যথা- জাতীয়তাবাদী ব্যাখ্যা, মার্কসবাদী ব্যাখ্যা, নেমিয়ারপন্থী গ্যালাহারবাদী কেমব্রিজ ব্যাখ্যা। তাছাড়া একটি চতুর্থ ব্যাখ্যা অধুনা গড়ে উঠেছে যাকে নিম্নবর্গীয় ব্যাখ্যা বা Subaltern Studies বলা হয়। এই গ্রন্থে যতদূর সম্ভব বিভিন্ন ব্যাখ্যার সার-সংক্ষেপ নিয়ে নিরপেক্ষভাবে তা আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে।

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারত ইতিহাসকে ‘নেহেরু যুগ’ বলে চিহ্নিত করা হয়। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জওহরলাল নেহেরুই ছিলেন ভারতের অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীন ভারতের রূপকার। তিনিই ছিলেন সবকিছুর কেন্দ্রে। তাঁরই নেতৃত্বে ভারত এক অগ্ৰণী শক্তিশালী আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, তাঁরই তৈরি করা ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বর্তমান ভারত। এই গ্রন্থে কয়েকটি অধ্যায়ে স্বাধীনতা-পরবর্তী যুগে ভারতে নেহেরুর বিপুল কর্মকাণ্ডের পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই গ্রন্থে আলোচনা করা হয়েছে নেহেরুর মতাদর্শ, নব প্রতিষ্ঠিত ভারত রাষ্ট্রের কয়েকটি তাৎক্ষনিক সমস্যা, উদ্বাস্তু সমস্যা, দেশিয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তি, ভারতীয় সংবিধান রচনার ইতিহাস, সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশ, পরিকল্পিত অর্থনীতি। নেহেরু প্রদর্শিত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও বিদেশ নীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে যতটা সম্ভব নৈর্ব্যক্তিকভাবে পর্যালোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে।

আমার এম. এ. ক্লাসে স্যার ছিলেন ঐতিহাসিক শশীভূষণ চৌধুরি ও ঐতিহাসিক সুমিত সরকার। এই দুজন প্রথিতযশা ঐতিহাসিক দেশে-বিদেশে ঐতিহাসিক মহলে সুপরিচিত। এঁদের কাছে আধুনিক ভারত ইতিহাসের অনেক বিষয় ভালভাবে শুনেছিলাম । এই গ্রন্থ রচনার ক্ষেত্রে তাঁদের অনেক প্রভাব পড়েছে বলা যায়। আমার প্রিয় এই দুজন স্যারকে আমার প্রণাম নিবেদন করি। ‘তলা থেকে ইতিহাস’-কে দেখার ব্যাপক প্রয়োগ করেন অধ্যাপক ড. সুমিত সরকার। তাঁর লেখা Modern India (1885-1947) গ্রন্থটিকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নানা ধারণার আকার হিসাবে আমি প্রায় প্রতিক্ষেত্রেই ব্যবহার করেছি। এছাড়াও ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার, তারাচাঁদ, বিপানচন্দ্র, অমলেশ ত্রিপাঠীর গ্রন্থ থেকেও নানা তথ্য ও তত্ত্ব সংগ্রহ করেছি। নেহেরু যুগের ইতিহাস পর্যালোচনা করার সময় প্রায় প্রতিক্ষেত্রেই ঐতিহাসিক বিপানচন্দ্র, ঐতিহাসিক মৃদুলা মুখার্জী ও ঐতিহাসিক আদিত্য মুখার্জির লেখা ‘India since Independence’ গ্রন্থটির সাহায্য নিয়েছি। এই গ্রন্থ রচনার জন্য বহু আধুনিক গবেষণা গ্রন্থের ও যথার্থ মানসম্পন্ন কয়েকটি পাঠ্যপুস্তকের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এই সকল ঐতিহাসিক, গবেষক ও লেখকের প্রতি আমার ঋণ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। একটি Comprehensive অথচ গভীর আলোচনামূলক ইতিহাস লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। আধুনিক ভারত ইতিহাসের প্রতিটি বিষয় নিয়েই আকর্ষনীয় বিতর্ক ঐতিহাসিকদের মধ্যে দেখা যায়। এই গ্রন্থের পর্যালোচনা প্রসঙ্গে বহু মন্তব্য করা হয়েছে যেটি আমাদের নিজস্ব ব্যাখ্যা বা ধারণা। গ্রন্থের শেষে পাঠ্যগ্রন্থের তালিকা দেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধিৎসু পাঠক তা ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি, অনার্স ও এম. এ স্তরের ছাত্রছাত্রীরা এই গ্রন্থটি পড়ে উপকৃত হবেন।

এই গ্রন্থটি রচনার জন্য প্রচুর শ্রম স্বীকার করেছি। শ্রীধর প্রকাশনীর কর্ণধার, ইতিহাসের প্রাক্তন অধ্যাপক শ্রী অমলেন্দু পান এই গ্রন্থ রচনার জন্য আমাকে উৎসাহিত করেছেন। তাঁর সুযোগ্য পুত্র তরুণ প্রকাশক শ্রী কৃষ্ণেন্দু পান এম. এ গ্রন্থটিকে সর্বাঙ্গ সুন্দর করার ব্যাপারে যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন। এঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার সহধর্মিনী সবিতা মণ্ডল গ্রন্থটি রচনার ক্ষেত্রে নানাভাবে আমাকে সর্বদাই উৎসাহ জুগিয়ে গেছেন। আমার দুই নাতনি অহনা ও অন্বেষা এবং নাতি অর্কপ্রভ আমার লেখার কাজে কোন সময়ই ব্যাঘাত সৃষ্টি করেনি বলে তাদের এই আচরণকে প্রশংসা করি। সবশেষে প্রবীণ ও নবীন সমস্ত অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের কাছে প্রত্যাশা করব গ্রন্থটির সহৃদয় মূল্যায়ণ, সমালোচনা ও পরামর্শ যাতে পরবর্তী সংস্করণ সমৃদ্ধতর হয়ে উঠতে পারে।

বিনীত
অসিত কুমার মণ্ডল, ২রা অক্টোবর, ২০০৯
বর্ধমান

Download another History e-Book:

  1. [e-Book] – ভারতের ইতিহাস By Bijoy Krishna Ghose: Click Here
  2. [PDF] পলাশি থেকে পার্টিশন: আধুনিক ভারতের ইতিহাস by Shekhar Bandyopadhyay: Click Here

[PDF] ভারত ইতিহাস পরিক্রমা | Bharat Itihas Parikrama by অধ্যাপক প্রভাতাংশু মাইতি

Book & Author Name:ভারত ইতিহাস পরিক্রমা by অধ্যাপক প্রভাতাংশু মাইতি
LanguageBengali
PagesUp-date Soon….!
e-BookPDF
File Size:Up-date Soon….!

Download – ভারত ইতিহাস পরিক্রমা | Bharat Itihas Parikrama by অধ্যাপক প্রভাতাংশু মাইতি – Read Offline [Up-date Soon….!]

Leave a Reply