[PDF] Jinnah Bharat Deshbhag Swadhinata | জিন্না: ভারত দেশভাগ স্বাধীনতা – Jaswant Singh

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Group Join Now

[e-Book] জিন্না: ভারত দেশভাগ স্বাধীনতা : যশোবন্ত সিংহ | Jinna : Bharat Deshvag o swadhinata

‘জিন্না: ভারত দেশভাগ স্বাধীনতা’ বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:-

১৯৪৭ সালের দেশভাগ নিঃসন্দেহে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে মর্মঘাতী ক্ষত, গাঁধীর মতো কেউ-কেউ যাকে তুলনা করেছিলেন জীবিত প্রাণীর শবব্যবচ্ছেদের অসহ্য যন্ত্রণার সঙ্গে। উপমহাদেশের চার প্রজন্মের মানুষের মনস্তত্ত্বকে এ ঘটনা তাপদগ্ধ ও অসাড় করে দিয়েছে। কেন আদৌ এ ঘটনা ঘটেছিল? এ জন্য দায়ীই বা কে? জিন্না? কংগ্রেস? না কি ব্রিটিশরা? যশোবন্ত সিংহ এ প্রশ্নেরই একটা উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন। একান্তভাবেই তাঁর নিজস্ব উত্তর। কেননা প্রশ্নটির সম্ভবত কোনও নির্দিষ্ট একটা উত্তর হয় না। লেখক তবু তাঁর অনুসন্ধান চালিয়েছেন। জিন্নার রাজনৈতিক অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল (গোপালকৃষ্ণ গোখলের ভাষায়) ‘হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের রাষ্ট্রদূত’ রূপে। কিন্তু তা শেষ হয়। ভারতীয় মুসলিমদের ‘একমাত্র মুখপাত্র’, পাকিস্তানের স্রষ্টা এবং কায়েদ-এ-আজম হয়ে ওঠায়। কেন এবং কী ভাবে এই রূপান্তর ঘটল ?

কোনও ভারতীয় বা পাকিস্তানি রাজনীতিক কিংবা সাংসদ কায়েদ-এ-আজম মহম্মদ আলি জিমার নিরপেক্ষ, বিশ্লেষণধর্মী রাজনৈতিক জীবনী রচনা করার চেষ্টা করেননি— তাঁর সম্পর্কে বেশির ভাগ লেখাতেই হয় তাঁকে দেবতা প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে, অথবা দানব। এই বইতে জিন্নার বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়নের চেষ্টা রয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে যশোবন্ত সিংহের অভিজ্ঞতা অতিশয় সমৃদ্ধ (লাহৌর শান্তি প্রক্রিয়া, কার্গিলে যার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়, কলহরে সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তির বিনিময়ে ভারতীয় বিমানযাত্রীদের নিরাপদে ফেরানো, আমার শীর্ষ শান্তি বৈঠক, জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা ও ভারতীয় লোকসভায় জঙ্গি হামলা, ২০০২ সালে যুদ্ধপ্রস্তুতির আড়ালে চাপ সৃষ্টির কূটনীতি এবং পরের বছরেই আবার শান্তি-উদ্যোগের একের পর এক চ্যালেঞ্জ তাঁর সামনে এসেছে)।

[PDF] ‘জিন্না: ভারত দেশভাগ স্বাধীনতা’ | Jinnah Bharat Deshbhag Swadhinata: সূচিপত্র


প্রস্তাবনা: একটি জটিল সূচনা……….১
১. ভারত ও ইসলাম……….৭
২. জেনাভাই থেকে জিন্না: একটি সফর……….৫৩
৩. উত্তাল কুড়ির দশক……….১০১
৪. লক্ষ্য নির্দিষ্ট হচ্ছে, পথও সীমিত হয়ে আসছে……….১৩৭
৫. ছােট দশক, লম্বা দৌড়……….১৮৯
৬. সাম্রাজ্যের সুর্যাস্ত……….২৪৫
৭. উত্তরাধিকারের লড়াই: ভিন্ন ভিন্ন পথ……….২৯০
৮. আললাচনার ঘূর্ণিপাক……….৩৪৬
৯. ভাইসরয় মাউন্টব্যাটেন-এর সময়কাল: ব্রিটিশ রাজ-এর অবসান……….৩৭৬
১০. পাকিস্তানের জন্ম — স্বাধীনতা: কায়েদ-এর শেষ যাত্রা……….৪১১
১১. অতীতের দিকে ফিরে……….৪২০

ঋণস্বীকার

মহম্মদ আলি জিন্নার একটি রাজনৈতিক জীবনী রচনার সাধ আমার অনেক দিনের। কিন্তু সেই সুপ্ত বাসনাটি পরিকল্পনায় রূপায়িত হয় ১৯৯৯ সাল নাগাদ, কিছু আকস্মিক ঘটনাচক্রে। সেটা প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ঐতিহাসিক লাহৌর বাস-যাত্রার সময়। আমি তখন মিনার এ-পাকিস্তান-এ প্রধানমন্ত্রীর সহযাত্রী হই। ৬০ মিটার উঁচু এই স্তত্ত্বটি যেখানে অবস্থিত, ১৯৪০ সালে ২৩ মার্চ সেখানেই অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগ আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তান তৈরির প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। ওখান থেকে ফেরার সময়েই আমার খেয়াল হয়, কোনও ভারতীয় রাজনীতিকের কলমে জিন্নার কোনও জীবনী রচিত হয়নি। আর তখনই এই শূন্যতাটা ভরাট করার চিন্তা আমায় পেয়ে বসে। তার পরেও অবশ্য কয়েক বছর কেটে যায়।

২০০৪ সালে এসে তার একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়। সে সময় আমরা সরকারের বাইরে, তাই ভাবনাচিন্তা করার, গবেষণা করার এবং লেখালেখি করার বেশ খানিকটা সময় আমি হাতে পেয়ে যাই।

এ সময়েই আমি অন্যদের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করি। অনেকেই এ পথে আমার আদৌ পা বাড়ানোয় বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং আমাকে হুঁশিয়ারও করে দেন। তবে আমি দমে যাইনি। কারণ এটা ছিল আমার একটা ব্যক্তিগত অভিযাত্রা, ১৯৪৭ সালে ভারত কেন বিভাজিত হল, তার কারণগুলির পুনরাবিষ্কার এবং স্বচ্ছতর উপলব্ধির চেষ্টা।

অনেক ভাবনাচিন্তা করেই আমি অগ্রসর হই, এবং এখন, শেষ পর্যন্ত বইটি প্রকাশ পেয়েছে। আমার পাঁচ বছর লেগেছে বইটি লিখতে, পুনর্লিখন, তথ্য যাচাই, পুনর্বাচাই করতে—আপাতদৃষ্টিতে যা এক অন্তহীন প্রক্রিয়া। যাদের কাছে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ, তাদের তালিকাটি সাতিশয় দীর্ঘ। তবে সেই তালিকার শীর্ষে থাকবেন জেড এইচ জাইদি, পাকিস্তানের জাতীয় মহাফেজখানার কায়েদ-এ-আজম নথি-প্রকল্পের প্রধান সম্পাদক। যোগাযোগ করা মাত্রই তিনি অকুণ্ঠ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এবং তাঁর চমৎকার প্রাচীন টাইপরাইটারে আমার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করে। যান। ঘরে-ঘরে কম্পিউটার এবং দ্রুতগতির প্রিন্টারের এই যুগে এমন একটা সেকেলে যন্ত্র নিয়ে কাজ করা। নির্দ্বিধায় অবিরাম তিনি আমায় যাবতীয় সাহায্য দিয়ে গেছেন। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, ডক্টর সাহেব।

বইটির জন্য গবেষণা করতে গিয়ে অসংখ্য বইপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়েছে, যার সবগুলিই দেশ ভাগের সময়কারই দলিল, প্রতিটিতেই মজুত রয়েছে উচ্চ মানের গভীর জ্ঞান, ব্যাপক অভিজ্ঞতা ও তীব্র আবেগ। পাদটীকা অংশে সেগুলির উল্লেখ রয়েছে, যা প্রকারান্তরে আমার কৃতজ্ঞতারই স্বীকৃতি।

রাঘবেন্দ্র সিংহ আমাকে প্রভূত সাহায্য করেছেন নিরন্তর নতুন-নতুন বই, উৎস ও জ্ঞাতব্য তথ্যের হদিশ দিয়ে। প্রাথমিক পর্বের খসড়া তৈরিতেও তিনি সাহায্য করেছেন—কাগজের লেখা থেকে বইয়ের অবয়বে স্থানান্তরিত করার সেই দুরূহ কাজ। রাঘবেন্দ্রকে ধন্যবাদ।

এ ধরনের অধিকাংশ বইয়ের মতো এই বইটিও কলেবরে উত্তরোত্তর পৃথুল হতে চাইছিল, যেহেতু বইয়ের বিষয়বস্তুটির চাহিদাই সে রকম। উপরন্তু, সব বই-ই রচিত হতে হতে একটা নিজস্ব জীবন ও ইচ্ছা অর্জন করে। তবু বিষয়বস্তুর সীমান্ত বেঁধে দেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়ে। হাজার হোক, সীমান্ত, চৌহদ্দি, অঞ্চলের সীমানার মতো আবদ্ধ রাখার শব্দ ও ধারণাগুলিই এ বইয়ের কেন্দ্রীয় বিষয়, যে-সব বদ্ধতাজনিত বিভাজনের ধারণা এই উপমহাদেশের উপর ১৯৪৭-এ আরোপ করা হয়। বিশ্ব এখন তাই আমাদের ‘দক্ষিণ এশিয়া’ বলে ডাকে।

বইটি লিখতে গিয়ে আমাকে গুরুতর দায়িত্ববোধে স্থিত হতে হয়েছে, যেহেতু বিষয়বস্তুর স্পর্শকাতরতা চূড়ান্ত। ভারতের বিভাজনই তো আমাদের সকলের কাছে বিংশ শতাব্দীর নির্ণায়ক লগ্ন। তা থেকে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়, তার ক্ষরণ এখনও বন্ধ হয়নি। এখনও নয়।

এ জন্যই বইটি লিখতে গিয়ে যাঁদের উপর আমি নির্ভর করেছি এবং যাঁদের পরামর্শ নিয়েছি, সেই সব বন্ধু, সহকর্মী ও উপদেষ্টাদের কাছ থেকে যা পেয়েছি, সব কিছুর তালিকা বানাতে গেলে অনেক পৃষ্ঠা ভরে যাবে। এঁরা সকলেই নিঃস্বার্থ ভাবে আমাকে সাহায্য করেছেন। ভারতের ভিতরে কিংবা বাইরে সকলেই ব্যতিক্রমহীনভাবে সানন্দে আমার অসংগঠিত পাণ্ডুলিপি পড়ার যন্ত্রণা সহ্য করেছেন হাসিমুখে। তারা আমার তথ্যের ভুল শুধরে দিয়েছেন, অনিবার্যভাবে মতামতের অসম্পূর্ণতা ও দৈন্যও ধরিয়ে দিয়েছেন কখনও বিনীতভাবে, কখনও বা কঠোর ভাবে, এবং আমিও যে সর্বদা সব বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে একমত হতে পেরেছি, এমনও নয়। তবে এ ধরনের বইয়ের রচনায় এমনটাই তো হওয়ার কথা।

বইটিতে আবেগের পাত্র কানায় কানায় পরিপূর্ণ। সেটা হতে বাধ্য। গাঁধী যাকে ‘জীবিত প্রাণীর দেহব্যবচ্ছেদের নির্মমতা’ আখ্যা দিয়েছেন, তা থেকে অনুভব, বেদনা ও আবেগকে আলাদা করা যাবে কী করে। ইতিহাস রচনার পদ্ধতি যাঁদের চর্চার বিষয়, তাঁরা, আমি নিশ্চিত, এই রচনাপদ্ধতির দিকে ভুরু কুঁচকে তাকাবেন। কিন্তু আমি তো ঘটনাবলির কোনও ঠাণ্ডা, একরৈখিক, নৈর্ব্যক্তিক বিবরণ লিপিবদ্ধ করছি না। এ ধরনের বিবরণকে আমরা এখন সন্দেহের চোখে দেখি।

এত জন মিলে আমার পাণ্ডুলিপি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ে দিয়েছেন যে আমি যারপরনাই আনন্দিত, গর্বিতও। আসলে বইয়ের বিষয়বস্তুই তাদের আকৃষ্ট করেছে—মহম্মদ। আলি জিন্নার জনসমক্ষে আচরিত জীবনপ্রণালী এবং হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের দূত থেকে পাকিস্তানের কায়েদ-এ-আজমে পরিণত হওয়ার রাজনৈতিক অভিযাত্রা।

এম জে আকবর, মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ভাটিয়া, উইলিয়াম ড্যালরিম্পল, ডেভিড গুডল, ওয়াজাহাত হবিবুল্লা, পলি ও ‘হ্যানলন, মণিশঙ্কর আয়ার, বিবেক কাটছ সুনীল খিলনানি, প্রতাপতানু মেটা, এ জি নুরানি, টি সি এ রাখবন, আাছনি র‍্যামসে, সুসানে রুডল্ফ, লয়েড রুডলফ, কে সি সিংহ, মানবেন্দ্র সিংহ, স্ট্রোব ট্যালবট, বি জি ভার্গিক এবং অঞ্জন ভৌমিক, অভিষেক দীক্ষিত ও নটরাজন স্বামীনাথনের গবেষক দলকে আমার অসংখ্য ধন্যবাদ।

গবেষকদের মধ্যে আলাদা করে অশ্বিনী চান্নানকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। আমার ধারণাগুলির কাঁচা মাটিকে তিনিই ছাঁচে ঢেলে, পুড়িয়ে বইয়ের রূপ দেন। তাঁর ঐকান্তিক সাহায্য ছাড়া এ বই প্রকাশক পর্যন্ত পৌঁছত বলে মনে হয় না।

বইটির বাংলা সংস্করণ প্রকাশ করেছেন আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড। অনুবাদকদের আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রকাশকরা যে দক্ষতার সঙ্গে বইটি প্রকাশ ও বিপণনের যাবতীয় দিক সম্পূর্ণ করেছেন, সে জন্যই এখন এটি বর্তমান চেহারায় আপনাদের হাতে। তাঁদের গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। সঞ্জনা রায়চৌধুরী যে অসাধারণ পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠায় বারংবার আমার ত্রুটিপূর্ণ পাণ্ডুলিপি পড়ার, শুদ্ধ করার, পুনরপি শুদ্ধ করার কষ্টসাধ্য কাজ সম্পন্ন করেছেন, তার ফলেই এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বই হতে পেরেছে।

বইয়ের সমস্ত ভুল-ভ্রান্তি, বিচ্যুতি, ছাড়-যাওয়া অবশ্য একান্তভাবে আমারই এবং আমি একাই সে সবের জন্য দায়ী। বইটি যেহেতু ১৯৪৭ সালের দেশ-ভাগ বিষয়ে, তাই এর নাম: জিন্না, ভারত দেশভাগ স্বাধীনতা।

আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ডন পত্রিকার মালিক হামিদ হারুন এবং তাঁর সংবাদপত্রের প্রবীণ সাংবাদিক আর্দেশির কাওয়াসজিকে তাদের ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে পাওয়া জিমার আলোকচিত্র ছাপার উদার অনুমতির জন্য। ওই সংগ্রহ থেকে আমি সেই সব ছবিই নিয়েছি, যা আমার মতে, জিন্নার মহাকাব্যিক যাত্রার প্রতিনিধিত্ব করে।

সবশেষে কৃতজ্ঞতা জানাই সার সোরাব টাটা ট্রাস্টকে, যাঁদের উদার ও স্বতঃস্ফূর্ত সাহায্যের কাছে আমি প্রভূত ঋণী। ধন্যবাদ!

যশোবন্ত সিংহ

Read Also:-

  1. [PDF] পলাশি থেকে পার্টিশন: আধুনিক ভারতের ইতিহাস by Shekhar Bandyopadhyay: Click Here
  2. ভারত ইতিহাস পরিক্রমা by অধ্যাপক প্রভাতাংশু মাইতিঃ- Click Here

[Download] জিন্না: ভারত দেশভাগ স্বাধীনতা : যশোবন্ত সিংহ

[PDF] THE RAJBANSIS OF NORTH BENGAL by CHARU CHANDRA SANYAL
PublishersThe Asiatic Society
Year of PublicationPublished in 1965
First Reprint in 2002
Second Reprint in March 2020
Place of PublicationKolkata
LanguageEnglish
Pages272p.;
PDF [e-Boook]Download [Upload Soon….]
File SizeUpload Soon….!

Leave a Reply